কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদের দান বক্সে মিললো ২৩ বস্তা টাকা ইতিহাস

পাগলা মসজিদ কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদের দান বক্সে মিললো ২৩ বস্তা টাকা এই মসজিদটি একটি প্রাচীন কালের মসজিদ এটি কিশোরগঞ্জের সদরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত

এই পাগলা মসজিদে বিভিন্ন দেশের মানুষ বিশেষ করে বাংলাদেশি মানুষরা তাদের মনের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য দান করে থাকেন বা মানত করে থাকেন, এই মসজিদের দান বক্সে মানুষ হাজার হাজার টাকা দান করে এবং ছাগল গরু তাছাড়া স্বর্ণ অলংকার সহ বিভিন্ন দামি আসবাবপত্র মানত করে থাকে।

কিভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায-ফ্রি টাকা ইনকাম

কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদের দান বাক্স

এই পাগলা মসজিদে প্রতিবার দান বক্স খোলা হলে প্রচুর পরিমাণ টাকা সংরক্ষিত হয় ২০২৩ সালের প্রথম দিকে পাগলা মসজিদের দেন বাক্স থেকে ইনকাম হয়েছে ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা

২০২৩ সালের প্রথম দিকে পাগলা মসজিদের দান বক্স থেকে প্রচুর পরিমাণ স্বর্ণমুদ্র এবং মোবাইলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান জিনিসপত্র পাওয়া গেছে দামি দামি ঘড়ি তাছাড়া মোবাইল ফোন সহ শরীরের অলংকার এবং টাকার পরিমান ছিল ১৯ বস্তা

কিন্তু ২০২৩ সালের শেষ দিকে গতকাল পাগলা মসজিদের দানবস থেকে ২৩ বস্তা টাকা সংরক্ষণ করা হয়েছে এই টাকাগুলো বর্তমানে গণনা করা হচ্ছে গণনা করার পরে টাকার সঠিক পরিমাণ জানা সম্ভব হবে. তবে প্রতিবারের মতো এবারও প্রচুর পরিমাণ এবং স্বর্ণ মুদ্রা এবং দামী দামী আসবাবপত্র যেমন ঘড়ি মোবাইল সহ অনেক জিনিস পাওয়া গেছে।

পাগলা মসজিদের ইতিহাস

পাগলা মসজিদ কিশোরগঞ্জ সদর জেলায় হারুয়া নামক স্থানে নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত কিশোরগঞ্জের বিখ্যাত ঐতিহাসিক বিখ্যাত ব্যাক্তি হযরত নগর জমিদার বাড়ির ইশা খান বংশে দেওয়ান খান ওরফে জিলকদর পাগলা সাহেব নামক একজন আধ্যাতিক লোক নরসুন্দা নদীর তীরে বসে নামাজ আদায় করতেন।

পরবর্তীতে ঐ জায়গায় একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয় জিলকদর পাগলার নাম অনুসারে সেই মসজিদটির নাম হয় পাগলা মসজিদ।

কারো কারো মতে কিশোরগঞ্জের বিখ্যাত ব্যক্তি নগর হযরতনগর জমিদারের পাগলা বিবির নাম অনুসারে মসজিদটির নাম হয় পাগলা মসজিদ।

পাগলা মসজিদে মানত

পাগলা মসজিদে মানত হলো পাগলা মসজিদে হাজার হাজার মানুষ হাজার হাজার টাকা মানত করে তারা মনে করে তাদের বিভিন্ন মুসিবতে অথবা সন্তান হচ্ছে না,ছেলে সন্তান হচ্ছে না, কারো বিয়ে হচ্ছে না বা কারো কোন মামলায় সমস্যা তা ছাড়া আরও বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন থেকে সমাধান পাওয়ার জন্য এই পাগলামি মসজিদে মানত করে,

তারা মনে করে এ মসজিদে মানত করলে তাদের মসিবত দূর হয়ে যাবে বা যাদের ছেলে সন্তান নাই তাদের ছেলে সন্তান হয়ে যাবে যাদের বিয়ে হচ্ছে না তাদের বিবাহ হয়ে যাবে এরকম একটি মনোভাব নিয়ে তারা মানত করে থাকে একে বলে পাগলা মসজিদের মান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *