আপনারা কি বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা ২০২৩-২০২৪ জানতে চান ? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় প্রবেশ করেছেন। আজকে আমরা আলোচণা করবো ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা সম্পর্কে আলোচনা করবো। এছাড়াও নতুন মুদ্রানীতি কতটা সহায়ক হবে, নতুন মুদ্রানীতি বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্পর্কে আলোচনা করবো।
আজকের এই আলোচনায় আপনারা মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা লাভ করতে পারবেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪
নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা ২০২৩-২০২৪
গত ১৭ ই জানুয়ারি মূল্য স্ফীতির চাপ সামাল দেওয়ার জন্য ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এই নীতি ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক আবারও সুদহার বাড়ালো। চলমান মুদ্রানীতিতে নীতি সুদহার দশমিক ২৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে আট শতাংশ করা হয়েছে।
মূলত মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশের মধ্যে নামিয়ানার লক্ষ্যে এই নীতি সুধার বাড়ানো হলো। গত ২০২৩ এর নবেম্বর মাসে নীতি সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ করা হয়েছিল।
নীতি সুদহার বৃদ্ধির ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণের সুদহার কমে যায়। ফলে ঋণের চাহিদা কমে যায়। ঋণের চাহিদা কমায় গেলে মূল্য স্ফীতির সূচক মাথা নামতে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কাজ হলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। আর এই মূল্য স্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য নীতি সুদহার কমানো বা বাড়ানোর প্রয়োজন হয়। আগামী জুন মাস পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহের লক্ষ মাত্রা ১০ শতাংশ ধরা হয়েছে।
এবং সরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ।আগামী জুন মাস পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহের লক্ষ মাত্রা ১০ শতাংশ ধরা হয়েছে। এবং সরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ। গত ডিসেম্বর বেসরকারি খাতের যা ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ এবং সরকারি খাতে ছিল ১৮ শতাংশ।
এবার এই নতুন মুদ্রানীতিতে বিদেশী মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণের জন্য ক্রলিং প্যাক নামক পদ্ধতি ব্যবহারের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে এই পদ্দতিতে বিদেশি মুদ্রার হার কত হবে তা এখনো জানানো হয় নি।
নতুন মুদ্রানীতি কতটা সহায়ক হবে
এবারের নতুন মুদ্রানীতি অনুযায়ী, রিজার্ভ এর পুরান ফর্মুলার পাশাপাশি নতুন ফর্মুলায় আইএমএফ ম্যানুয়াল করা হবে। এই দুটি পদ্ধতিই বহমান থাকবে এবং তা পাশাপাশি দেখানো হবে।
পলিসি রেট আরও পয়েন্ট ফাইভ শতাংশ বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কম ঋণ নেবে, সরকার কম টাকা নেবে। সেই সঙ্গে সরবরাহ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারি থাকবে।
নীতি সুদহার বৃদ্ধির ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণের সুদহার কমে যায়। ফলে ঋণের চাহিদা কমে যায়। ঋণের চাহিদা কমায় গেলে মূল্য স্ফীতির সূচক মাথা নামতে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কাজ হলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। আর এই মূল্য স্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য নীতি সুদহার কমানো বা বাড়ানোর প্রয়োজন হয়। আগামী জুন মাস পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহের লক্ষ মাত্রা ১০ শতাংশ ধরা হয়েছে।
নতুন এই মুদ্রানীতির ফলে বাজারে অতিরিক্ত মুদ্রা সরবরাহে রাশ টানা হবে। সেই সঙ্গে বাজারে সরবরাহ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা উপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি অব্যাহত থাকবে। মূল্যস্ফীতি মোকাবেলাতেও এসব সিদ্ধান্ত কাজ করবে।
নতুন মুদ্রানীতি বহুমুখী চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন মুদ্রানীতি অনুযায়ী সুদহার আগের চেয়ে দশমিক ২৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে আট শতাংশ পুনর্নিধারণ করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নেওয়া ঋণের বিপরীতে সুদ দিতে হবে ১০ শতাংশ হারে।
তবে মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে অনন্যা দেশ গুলো তাদের সুদ হার বাড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক এখনো এই পথে হাটেনি। ১০ শতাংশ সুদহারের সীমার কারণে মুদ্রানীতির কার্যকারিতা অনেকাংশে কম হয়, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমায় টাকার হাতবদলও কমতে থাকে। এ পরিস্থিতিতে সরকারের ঋণচাহিদার বেশির ভাগই দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
উচ্চমূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের সঞ্চয়ক্ষমতা কমতে থাকায় ব্যাংক খাতের আমানত কয়েক হাজার কোটি টাকার বেশি কমেছে। সুদহার বাড়ানো হলেও ব্যাংকঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ১০ শতাংশেই ধরে রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, তবে ভোক্তাঋণের ক্ষেত্রে এ সুদহার সর্বোচ্চ ১৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক । ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার পরিবর্তিত না হলেও ব্যাংক আমানতের সুদহারের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আগের নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
এখন থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজেদের চাহিদা ও সামর্থ্য অনুযায়ী গ্রাহকদের সুদ দিয়ে আমানত সংগ্রহ করতে পারবে। এ মুহূর্তে দেশের ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট চলছে, বেশকিছু বাণিজ্যিক ব্যাংক নিজেদের নির্ধারিত সিআরআর ও এসএলআর সংরক্ষণে ব্যর্থ হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বছরে কতবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করে
সাধারণত বাংলাদেশ ব্যাংক বছরে দুইবার মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে আসছে। ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক বছরে দুইবার মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে , কিন্তু ২০১৯ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বছরে একবার মুদ্রানীতি প্রণয়নের ঘোষণা দেন। এর পরবর্তীতে ২০১৯-২০,২০২০২১ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে একবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়। এরপর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার শর্ত হিসেবে বছরে দুইবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে